চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগী ও চিকিৎসকদের বক্তব্যে বিপরীতধর্মী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ অবস্থান সেবাগ্রহীতার ও সেবাদাতার। কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগী ও চিকিৎসক যেন দুটি পক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। জনমনে এ ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে যে দুপক্ষের দূরত্ব বাড়ছে।
সমস্যাটি পুরোনো। এ সমস্যা কখনো সহিংসতায় রূপ নেয়। চিকিৎসকেরা ধর্মঘটে যান। চিকিৎসা বন্ধ থাকে। চরম ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা। স্থানীয়ভাবে মিটমাট হয়। আজ খুলনায় যে সমস্যা, তা হয়তো আজ মিটে গেছে। তবে জাতীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ না নিলে কিছুদিনের মধ্যে অন্য কোনো জেলায় এ সমস্যা আবার দেখা দেবে।
‘ হাসপাতাল পরিচালনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বহুবার জানানো হয়েছে, হাসপাতাল বা চিকিৎসকদের কর্মস্থলটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, এখানে অবকাঠামো নেই, এখানে জনবল নেই, এখানে চিকিৎসার উপকরণ নেই, রোগ নির্ণয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রযুক্তি নেই। এগুলো চিকিৎসাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে। তখন রোগীর স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হন, তখন তাঁরা চিকিৎসককে পেটান। এ পিটুনি চিকিৎসকেরা কত বছর ধরে খাবেন?’
শেখ বাহারুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের